“অটিজম আসলে কী?” – এই প্রশ্ন শুধু এক লাইনে উত্তর দেওয়ার মতো নয়। এর উত্তর লুকিয়ে আছে প্রতিটি নীরব শিশুর চোখে, প্রতিটি পরিবারের অদেখা কান্নায়, আর প্রতিদিনের লড়াইয়ে।
এই বইতে লেখক একজন মা এবং ন্যাচারোপ্যাথ হিসেবে অটিজমকে দেখেছেন ভেতর থেকে। শুধু তত্ত্ব নয়—আছে বাস্তব অভিজ্ঞতা, অটিজম আক্রান্ত শিশুদের গল্প এবং সুস্থ হয়ে উঠার প্রমাণ।
অটিজমের স্তর ও বাস্তবতা:
Level 1 থেকে Level 3 পর্যন্ত অটিজমের ধাপগুলো সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাঠক বুঝতে পারবেন তাদের শিশুটি কোন অবস্থায় আছে এবং কীভাবে তাকে সাহায্য করতে হবে।
বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে:
ফাহিম নামের এক শিশুর গল্প আপনাকে নাড়া দেবে। জন্মের সময় স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে সে হারিয়ে ফেলে কথা বলা, ঘুমের সমস্যা, সামাজিক অস্বস্তি—সব মিলিয়ে একটি পরিবারের দীর্ঘ লড়াই ও সুস্থ করে তোলার অভিজ্ঞতা।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও গবেষণা:
প্রতিটি শিশুর অটিজম আলাদা, যেমন আলাদা তাদের পৃথিবী দেখার দৃষ্টি।
ASD শিশুদের গড় আয়ু ৪০–৫০ বছর, চিকিৎসা ও সাপোর্ট সিস্টেম ছাড়া ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
ছেলেদের মধ্যে অটিজম হওয়ার ঝুঁকি মেয়েদের তুলনায় চার গুণ বেশি।
USA-তে প্রতিবছর ৪০–৫০ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, কারণ তারা বিপদ অনুভব করতে পারে না।
বইটি কেন পড়বেন:
✔ বাবা-মায়ের জন্য—শিশুর যত্ন, চিকিৎসা, ডায়েট ও আধ্যাত্মিক নিরাময়ের পথ সম্পর্কে সহজ ও ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা।
✔ মেডিক্যাল ও মনোবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য—অটিজম বোঝা ও সঠিক কেস স্টাডি শেখার উপকরণ।
✔ ন্যাচারোপ্যাথিস্ট ও গবেষকদের জন্য—অটিজমের বায়োমেডিক্যাল ব্যাখ্যা ও বিকল্প নিরাময়ের উপায়।
এই বইটি শুধুমাত্র তথ্যের নয়—এটি একটি আলোর পথ, যেখানে বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা একসঙ্গে সমাধান দেয়।
👉 যারা অটিজম আক্রান্ত শিশুদের সুস্থতা, চিকিৎসা ও জীবনমান উন্নত করতে চান, তাদের জন্য এই বইটি এক অপরিহার্য গাইড।
Reviews
There are no reviews yet.