আট থেকে আশি- ফুচকা সবার পছন্দ। ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। জিভে জল আনা এই খাবার ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান জলখাবার। যদিও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এর নাম আলাদা আলাদা, বাংলাদেশে এই জলখাবারকে মূলত ফুচকাই বলা হয়ে থাকে। ফুচকার ভক্তের অভাব নেই ঠিকই, কিন্ত আমরা কি জানি যে এই ফুচকার উৎপত্তি কোথায় এবং এর ইতিহাস কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক অসম্ভব সুস্বাদু এই জলখাবারের ইতিকথা।
লোককথায় ফুচকার ইতিহাস
মহাভারতে যখন দ্রৌপদীর সাথে পঞ্চ পাণ্ডবের বিবাহ সম্পন্ন হয় তখন পঞ্চ পাণ্ডবের মাতা কুন্তি দ্রৌপদীর পরীক্ষা নেন যে তিনি কতটা কম সময়ে রান্না করতে পারেন। তাই, মাতা কুন্তি কিছু আলু, সবজি ও ময়দা মাখিয়ে দ্রৌপদীকে এমন কিছু বানাতে বলেন যা দ্রৌপদী তার পাঁচ স্বামীকে খাওয়াবে। সেই সময় দ্রৌপদী একটি বড় পাত্র বানিয়ে তাতে আলু ভর্তি করেন। এটিই প্রথম "ফুচকা" বলে মনে করা হয়।
গবেষকদের মতে ফুচকার ইতিহাস
অনেক গবেষকই বিশ্বাস করে থাকেন যে ফুচকার উৎপত্তি হয়েছিল প্রাচীন মগধ সাম্রাজ্যে যা বর্তমানে ভারতের পশ্চিম মধ্য বিহার। ঐ সময় ফুচকাকে “ফুলকি” বলা হত। পাটলিপুত্র ছিল প্রাচীন মগধের রাজধানী। অনেক ঐতিহাসিকই ধারণা করে থাকেন যে এই পাটলিপুত্রে প্রথম ফুচকা তৈরি হয়। তারা আরো বলে থাকেন যে চালের গুঁড়ো দিয়ে ফুচকা তৈরির প্রথা শুরু হয় লিট্টি চোখা (ভারতের বিহারের একটি খাবার) খাওয়ার পর থেকে। যিনি প্রথম ফুচকা তৈরি করেছিলেন তার নাম কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।
লেখকঃ ক্যারোলিন গমেজ
সহ-সম্পাদক, লিপির আলো
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0মন্তব্যসমূহ