চাকরিদাতাদের অভিযোগ দেশের যুবকদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত হলেও নিয়োগের অযোগ্য। এর কারণ পড়াশুনা শেষ করলেও তাদের মধ্যে কর্পোরেট দুনিয়ার প্রাথমিক স্কিলগুলোর অভাব। পড়াশুনার কারিকুলাম এর সাথে প্রয়োজনীয় স্কিল এবং প্রাসঙ্গিক টপিকের সামঞ্জস্য না থাকায় ভুগতে হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের। আর প্রতিযোগিতা? সে তো বলার বাহিরে!
পড়াশুনা করে ভালো ডিগ্রী নিয়ে সকলের ইচ্ছা থাকে অনেক ভালো পদে কাজ করার। যেহেতু এই পদ গুলো সহজে শূন্য হয় না, সে কারণে অনেকেই বেকার থাকেন। ছোট কাজ করতে তাদের সম্মানে বাঁধে, আবার এটাও সত্য যে এন্ট্রি লেভেল এর কাজগুলোতে ১০-১২ হাজার টাকার বিনিময়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
আরেকদিকে তাকালে দেখা যায় বিসিএস দেওয়ার মহা উৎসব। বয়সসীমা থাকা পর্যন্ত অনেকেই প্রতিবছর বিসিএস দিতেই থাকেন, কেউ নিজের ইচ্ছায়, কেউবা পরিবার এবং সমাজের চাপে। ফলে এই লম্বা সময়ে যত অভিজ্ঞতা এবং স্কিল শেখা যেত, তার কিছুই আর শেখা হয়ে উঠে না।
পাবলিক ভার্সিটি নিয়েও আছে বিপুল উন্মাদনা, এইচএসসি দেয়ার পর থেকেই শুরু হয় ভর্তি কোচিং এর মেলা। আমাদের উপমহাদেশের অভিভাবকগণ বেশ কষ্ট করেই বড় হয়েছেন , তাই তাদের স্বপ্ন থাকে সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখার। আর এই স্বপ্ন বিক্রি করেই দিনে দিনে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কোচিং সেন্টার। যারা শুরুতেই বড় অংকের টাকা নিয়ে মুখস্থ পাঠদান কার্যক্রম শুরু করে, তা সেই শিক্ষার্থী আগে পড়ুক বা না পড়ুক , এখন তাকে ১ দিনে ১ চ্যাপ্টার শেষ করে আসতেই হবে।
যখন দেখা যায় সবাই ভালো করছে না, তখন টপ স্টুডেন্টদের নিয়ে শুরু হয় বিশেষ ব্যাচ। এভাবেই চলছে স্বপ্ন কেনা বেচার ব্যবসার। আর গিলানো সে বিদ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা বড় বড় ডিগ্রী ধারণ করছে।
সবশেষে বলা যায়, স্কিল অর্জন করা ব্যতীত বেকারত্ব দূর করা সম্ভব নয়, তাই একাডেমিক বা তাত্ত্বিক পড়াশুনার পাশাপাশি আমাদেরকে স্কিল অর্জনে জোর দিতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0মন্তব্যসমূহ