ছবিতে নির্যাতিত এই মহিলা একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার জামাই বাস ড্রাইভার। গতকাল এই মহিলার ছেলে খেলতে গিয়ে পানির একটা লাইন একটু নড়বড় করে ফেলে তার প্রেক্ষাপটে পানির ব্যবসায়ী মোঃ ইউসুফের বউ সবিতা রানী দাস ঐ ছেলেটাকে ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। পরবর্তীতে ছেলের মা খবর পেয়ে বাড়ির সামনে গেলে সবিতা রানী দাসের সাথে এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডা হয় এবং ঐ মহিলা তার ছেলেকে নিয়ে আসে। তার ঘন্টাখানিক পর সবিতা রানী দাসের স্বামী ইউছুফ তার বউয়ের কথা শুনে এসে ৩ মাসের গর্ভবতী এই অসহায় মহিলাকে তার বাসায় ঢুকে বেধড়ক মারধর এবং পেটের মধ্যে লাথি মারে, তার কাছে পা ধরে মাপ চেয়েও ঐ মহিলা ছাড় পায়নি।
এক পর্যায়ে এলাকার ১০/১২ জন যুবক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং নির্যাতিত মহিলার কান্না দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসা শেষে ডেমরা থানার ওসিকে ব্যাপারটি অবহিত করে নির্যাতিত মহিলার ছবি এবং ভিডিও পাঠায়।
তৎক্ষনাৎ ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল হক তার ডিউটি অফিসারকে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি শুনে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন এবং সাথে সাথে তিনি তার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে অভিযোগর সঠিক তদন্ত করতে পাঠান।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তদন্ত শেষে নির্যাতিত নারীকে আশ্বস্ত করেন যে, আপনার সাথে ঘটে যাওয়া অমানবিক নির্যাতনের উপযুক্ত শাস্তি দোষী ব্যাক্তি পাবেন এবং আরো বলেন কেউ যদি আপনাকে ভয়-ভীতি দেখায় আপনি সাথে সাথে আমাকে কল দিবেন এমনকি মোবাইলে যদি টাকা না থাকে পুলিশের জরুরি হটলাইন "৯৯৯" এ কল দিবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0মন্তব্যসমূহ